নার্সের পোশাকে হাসপাতালে ঘোরাফেরা করা নারীকে পুলিশে সোপর্দ
নার্সের পোশাক পরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে রোগীদের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন এক নারী। অন্য নার্সদেরও দাপট দেখাচ্ছিলেন। নতুন যোগদান করেছেন ভেবে প্রথমে কেউই তাঁকে কিছু বলেননি। একপর্যায়ে তাঁর চলাফেরা ও কথাবার্তায় অন্যদের সন্দেহ হয়। এরপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। হাসপাতালের নার্স না হওয়ায় পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ওই আটক নারীর নাম তুলি আক্তার (২০)। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। জয়পুরহাট থানার সামনে বারিধারা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তিনি।
পুলিশ বলছে, হাসপাতালের দামি ওষুধ ও রোগীদের টাকাপয়সা, মুঠোফোন চুরির উদ্দেশ্য তিনি এ কাজ করে থাকতে পারেন। হাসপাতালের একটি সূত্র বলছে, ওই নারী বগুড়ার একটি ক্লিনিকে থাকেন। তিনি ক্লিনিকে রোগী বাগিয়ে নিতে হাসপাতালে এসেছিলেন।
হাসপাতালের স্টাফ নার্স নাজমা খাতুন বলেন, ওই নারী নার্সের পোশাকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘোরাফেরা করছিলেন এবং রোগীদের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তবে তিনি এখানকার কেউ নন।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক শহীদ হোসেন বলেন, ওই নারী এখানকার নার্স নন। এরপরও নার্সের পোশাক পরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘোরাফেরা করায় তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, নার্স পরিচয়ে ওই নারী হাসপাতালের নামীদামি ওষুধ, রোগীদের টাকাপয়সা চুরি করতে এসেছিলেন বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। বগুড়ার একটি ক্লিনিকের চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। এ কারণে নিজেকে নার্স পরিচয় দেন। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।