সময় শেষের পরও অন্যের পক্ষে প্রচারণা, সংসদ সদস্য আবু জাহিরকে শোকজ

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সংসদ সদস্য আবু জাহিরের গণসংযোগ। গতকাল দুপুরেছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও অন্যের পক্ষে প্রচারণা চালানোয় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে হবিগঞ্জ-২ আসনের জন্য গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জের যুগ্ম ও জেলা দায়রা জজ জেরিন সুলতানা এ নোটিশ দেন।

সংসদ সদস্য আবু জাহির হবিগঞ্জ-৩ (সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাঁকে আজ শনিবারের মধ্যে সশরীর হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শুক্রবার (গতকাল) সকাল আটটায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। কিন্তু বিধি লঙ্ঘন করে গতকাল দুপুর ১২টার পর মো. আবু জাহির হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফের পক্ষে প্রচারণা চালান। তাঁর নেতৃত্বে বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন, মক্রমপুর ইউনিয়ন, সুজাতপুর ইউনিয়ন ও মন্দরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও বাজারগুলোতে নৌকার পক্ষে প্রচারণা ও মিছিল হয়, যা গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ এর ৭৮ (১) বিধি লঙ্ঘন। ফলে বিধি অনুযায়ী কেন আবু জাহিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আজ শনিবারের মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে সশরীর বা বাহক মারফতে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

হবিগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্রী প্রার্থী মো. আবদুল মজিদ খানের পক্ষে তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. আরিফ ফয়সল খান গতকাল বিকেলে এই প্রচারণার বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের দায়িত্বরত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান জেরিন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে যথারীতি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।