যশোরে ছুরি মেরে পালানোর সময় পিটুনিতে আহত যুবকের মৃত্যু

পিটুনিতে মৃত্যু
ফাইল ছবি

যশোর সদরে উপজেলার চাঁচড়া ডালমিল এলাকায় এক যুবককে ছুরি মেরে পালানোর সময় গণপিটুনিতে সাকিব হোসেন (২৭) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

নিহত সাকিব হোসেন যশোর সদর চাঁচড়া মধ্যপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত আটটার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে সাকিব ও নয়ন নামের দুজন সাজ্জাদ হোসেন (১৯) নামের অপর এক তরুণকে ছুরি মারেন। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে সদর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদারের কর্মী–সমর্থকেরা বিজয় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। ছুরি মেরে পালানোর সময় মিছিল থেকে লোকজন সাকিবকে ধরে গণপিটুনি দেন।

পরে ছুরিকাহত সাজ্জাদ ও গণপিটুনির স্বীকার সাকিবকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। এর মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সাকিবকে ঢাকায় স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে সাকিবের মৃত্যু হয়। এরপর স্বজনেরা যশোরে নিয়ে এলে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সাজ্জাদকে ছুরি মারার ঘটনায় তাঁর মা বিউটি খাতুন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলার দুজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি নিহত সাকিব হোসেন।

সাকিবের মামা শহীদ রহমান বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে চাঁচড়ায় কয়েকজন মিলে এক যুবককে ছুরি মারেন। সবাই পালানোর চেষ্টা করেন। সাকিব পালাতে পারেননি। নির্বাচনী বিজয় মিছিল থেকে কয়েকজন মিলে সাকিবকে গণপিটুনি দেন। একপর্যায়ে তাঁকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনেরা। ওই রাতেই তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ঢাকায় পাঠান চিকিৎসকেরা। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাকিবের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, সন্ধ্যার দিকে নিহত সাকিবের মরদেহ যশোরে আসে। এরপর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

ওসি বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে সাকিব ও সাজ্জাদের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে সাকিব ও নয়ন মিলে সাজ্জাদকে ছুরি মারেন। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিবের মৃত্যু হয়। সাজ্জাদের মা বাদী হয়ে সাকিবকে আসামি করে মামলা করেছেন। তবে নিহত সাকিবের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি।