ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে ধূমপান করলে আইনানুগ ব্যবস্থার নোটিশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হলে ধূমপান ও মাদক সেবন করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এ আদেশে অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আবদুল কাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ রাসেল হল–সংশ্লিষ্ট আবাসিক ছাত্রদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে হলের ব্যক্তিগত রুমে বা হল গেটের অভ্যন্তরে ধূমপান ও কোনো প্রকার মাদক সেবন করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের এ আদেশ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তবে হল কর্তৃপক্ষের এ আদেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা হচ্ছে। অনেকে হল কর্তৃপক্ষের এ আদেশকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ধূমপানের মতো ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাকে ‘জোর করে দাদাগিরি ফলানো’র শামিল মনে করছেন। তবে তাঁরা মাদক সেবনের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপকে ভালো উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। অনেকে এ–ও বলছেন, অনেক শিক্ষক প্রকাশ্যে ধূমপান করে থাকেন।

সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘হলের ছাত্রদের সঙ্গে গতকাল সোমবার মতবিনিময় করেছিলাম। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, হলের কক্ষে একজন ধূমপান করলে আরেকজনের সমস্যা হয়। সে জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে। এটা সচেতনমূলক। যেন একজনের কারণে আরেকজনের কোনো ক্ষতি না হয়।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য পাঁচটি হল রয়েছে। শেখ রাসেল হলে এমন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও বাকি চারটি হলে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী অর্ণব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধূমপানের কারণে কারও যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। প্রকাশ্যে সবার সামনে বা কক্ষের ভেতরে একজন পড়াশোনা করছে, ঠিক তার পাশেই আরেকজন ধূমপান করছে, এতে ক্ষতি হচ্ছে। হয়তো বড় ভাই করছেন, সে জন্য কিছু বলতে পারে না। তবে কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ কারও কাম্য নয়। তাই কেউ যদি ধূমপান করেও থাকে, তবে যেন সেটা ব্যক্তিগতভাবে করতে পারে।’