ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আবারও মামলা

আব্দুল হাই
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আবারও মামলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাইজুল ইসলাম শৈলকুপা থানায় মামলাটি করেন। এ ছাড়া আব্দুল হাইয়ের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

মামলার তিন আসামি হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম, হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকু শিকদার ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চড়িয়ারবিল বাজারে বিপুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ির নিচতলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন এবং পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন, যা গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২–এর অনুচ্ছেদ ৭৭(১)(ক)–এর লঙ্ঘন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় তিনটি মামলা হলো।

অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নে পোস্টার মারতে ও প্রচার মাইক যেতে দিচ্ছেন না। এ ছাড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি ইকু শিকদারের বাসা থেকে আনা হয়। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সেগুলো জব্দ করেছে। এটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২–এর সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮–এর বিধি ১০(চ)–এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

ঝিনাইদহের জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে পৃথক দুটি নির্দেশনা পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় আদালতে মামলা করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম জানান, তাঁরা কাউকে পোস্টার লাগাতে বাধা দেননি। তাঁরা আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার–প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারপরও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হলে আইনি লড়াই করবেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

ঝিনাইদহ-১ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন তৃণমূল বিএনপির কেএম জাহাঙ্গীর মজুমদার (সোনালী আঁশ), জাতীয় পার্টির মনিকা আলম (লাঙ্গল), আওয়ামী লীগের আব্দুল হাই (নৌকা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিচুর রহমান (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম (ট্রাক) ও মুনিয়া আফরিন (ফুলকপি)।