সৈয়দপুরে ইফতারে নতুন সংযোজন ‘নিখুদি’

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইফতার সামগ্রীতে নতুন সংযোজন ‘নিখুদি’ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রোজাদারদের কাছে ইফতারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ‘নিখুদি’ নামের এক মিষ্টি। দেখতে লম্বাটে কফি রঙের রসাল মিষ্টিটি পাওয়া যাচ্ছে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের শাহ হোটেল নিরিবিলিতে। এক কেজি মিষ্টির দাম ৪০০ টাকা।

রেস্তোরাঁটির মালিক আরাফাত শাহ বলেন, সৈয়দপুরের মানুষ খুব খাদ্যরসিক। ঘরে বানানো ইফতারির পাশাপাশি রেস্তোরাঁগুলোয় কী পাওয়া যাচ্ছে, এর খোঁজখবর রাখেন তাঁরা। প্রথমবারের মতো ইফতারে নিখুদি এনেছেন তাঁরা। রোজার প্রথম দুই দিনে প্রায় তিন মণের মতো নিখুদি বিক্রি হয়েছে।

সৈয়দপুর শহরের মদিনা মোড় এলাকার আজিমউদ্দিন সুইট মিটের মালিক রঞ্জন কুমার সরকার বললেন নিখুদি মিষ্টির আদি কথা। তিনি বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরে প্রায় ২০০ বছর আগে নিখুদি তৈরি শুরু হয়। শান্তিপুরের ময়রা ভোলানাথের কিশোরী মেয়ে ওই মিষ্টি প্রথম তৈরি করেন। কিশোরীর নাম ছিল নিখুদি, তার নামেই মিষ্টির নাম হয়।

এই মিষ্টি বানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক কারিগর বলেন, প্রথমে একটি পাত্রে দুধ নিয়ে ভালোভাবে জ্বাল করতে হবে। এরপর গুঁড়া দুধ মেশাতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়তে হবে, যাতে জমে ক্ষীর হয়ে আসে। নামানোর পর ময়দা, বেকিং পাউডার, ছানা ও ঘি মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। এরপর নিখুদি মিষ্টির আকার তৈরি করে তেলে ভেজে নিতে হবে। বাদামি রং ধারণ করলে নামাতে হবে। এরপর চিনির সিরায় ডুবিয়ে তুলতে হবে। এভাবেই হয়ে যায় নিখুদি মিষ্টি।

নিখুদি ছাড়াও সৈয়দপুরের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বোম্বে জিলাপি, ফালুদা, চিকেন কাটলেট, কাবাব, চিকেন রোল, মাটন শাশলিক, হালিম, সবজিরোলসহ নানা ইফতারি পদ।