বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর

গতকাল রাতে বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে
ছবি: সংগৃহীত

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতা ও পদবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে পৌর শহরের ধর্মতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শতাধিক তরুণ লাঠিসোঁটাসহ মিছিল নিয়ে শহরের ধর্মতলা মোড়ে আসেন। এ সময় ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে ফেলেন। পরে ধর্মতলা এলাকায় রাখা মোটরসাইকেলে ভাঙচুর ও কয়েকজনকে মারধর করেন এ তরুণেরা। এ সময় বর্তমান সভাপতি রেজাউল কবিরের কর্মীরা ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে বাজার সড়ক ধরে পূর্বদিকে চলে যান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

২৪ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেন। এতে ৩৩ জনকে পদ দেওয়া হয়। কমিটিতে রেজাউল কবিরকে সভাপতি ও তৌশিকুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

কমিটি ঘোষণার পর বরগুনা শহরে পদবঞ্চিত নেতা ইফরান আহম্মেদ, সবুজ মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম ওরফে সাগরের কর্মী-সমর্থকেরা হামলা ও ভাঙচুর করেন। এর পর থেকে নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে নানা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের এক ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন যেভাবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা-ভাঙচুর করছেন, এতে ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন, কোনো সময় আবার হামলা হয়।

জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি রেজাউল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘সদ্য ঘোষিত কমিটির সহসভাপতি সবুজ মোল্লা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাগরের নেতৃত্বে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা গতকাল রাতে শহরে হামলা ও ভাঙচুর করেন। পরে তাঁরা শহরে ধর্মতলা এলাকায় আসার পথে আমার নেতা–কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। এ সময় তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সবাই খুশি হলেও একটি মহল এ বিষয়ে নাখোশ।’

অভিযোগের বিষয়ে সবুজ মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, যে কেউ যে কারও নামে অভিযোগ করতেই পারেন। তবে অভিযোগের সত্যতা কতটুকু, তা আগে দেখতে হবে। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, ‘এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’