পছন্দের প্রার্থীর মনোনয়নের খবরে শোভাযাত্রা করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ

ফয়সাল আহামেদ বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় এনামুর রহমানকে গাবতলী থেকে শুভেচ্ছা জানান নেতা-কর্মীরা। মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আমি এনাম ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম। হেমায়েতপুর এলাকায় পৌঁছানোর পর জানতে পারি, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তালবাগ এলাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সে আমাদের শোভাযাত্রায় ছিল না।’

সাভার আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, রোববার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে জড়ো হন। পরে তাঁরা মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রাটি আমিনবাজার ঘুরে সাভারের তালবাগ এলাকায় এনামুর রহমানের বাসার সামনে এসে শেষ হয়।

এদিকে এই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে তালবাগ এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিরবচ্ছিন্ন লেনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গেলে পেছনের একটি মালবাহী ট্রাকের পেছনের চাকায় পিষ্ট হন সাকিব খান। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। খবর পেয়ে সাভার হাইওয়ে থানা–পুলিশ তাঁর লাশ হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে। মোটরসাইকেল আরোহী আরও দুজন আহত হলেও তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাকিবের এক বন্ধু প্রথম আলোকে বলেন, মিছিলে এসেছিলেন সাকিব। এরপর বাসায় যাচ্ছিলেন নাকি অন্য কোথাও যাচ্ছিলেন, সেটি জানা যায়নি।

শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া মো. রমজান বলেন, ‘মোটরসাইকেল নিয়ে আমিনবাজার থেকে সবাই ফিরছিলাম। দুই শর মতো মোটরসাইকেল ছিল। ওদের (সাকিব) মোটরসাইকেল একটু আগেই চলে আসছিল। ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে সে মারা গেছে। আমরা ধাওয়া দিয়ে ট্রাকটি আটকাই।’

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) শেখ আবু হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাকিবের লাশ থানায় আনা হয়েছে। ট্রাকের চালককে প্রত্যক্ষদর্শীরা ধাওয়া দিয়ে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ছাড়া ট্রাকটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’