৯ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চালু
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে আবার ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে রাত সাড়ে ৯টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই পথে ফেরি চালু হয়েছে। একই কারণে গতকাল রাত সাড়ে ৯টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথেও ফেরি বন্ধ ছিল। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই পথেও ফেরি চালু হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে পদ্মা ও যমুনা নদীর অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত ৯টার পর থেকে অনেকটা বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়তে শুরু করে। এ অবস্থায় সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া কে-টাইপ (মাঝারি) ফেরি ফরিদপুর ও ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা মাঝনদীতে আটকে পড়ে। এদিকে কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে কুমিল্লা, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামে তিনটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়।
এ ছাড়া পাটুরিয়া ঘাটে নোঙর করে রাখা হয় আরও ৮টি ফেরি। এতে মাঝনদীতে থাকা ফেরিতেসহ দুই ঘাটে আটকে পড়া ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী দূরপাল্লার পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনের কয়েক শ যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন।
একইভাবে কুয়াশার কারণে আরিচা–কাজিরহাট নৌপথেও রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে ফেরি বন্ধ চলাচল রাখে কর্তৃপক্ষ। এর আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে আরিচা ঘাট থেকে কাজিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কে-টাইপ ফেরি বেগম রোকেয়া মাঝযমুনায় আটকে পড়ে। নদীতে ফেরি আটকে পড়ার খবর পেয়ে উভয় ঘাট থেকে ফেরি ছাড়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। তবে কুয়াশা কেটে গেলে প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর আজ সকাল পৌনে ৯টার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ১৮তম দিনের মতো কুয়াশায় এই দুই রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হলো। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধের কারণে দুই রুটেই বেশ কিছু গাড়ি আটকে পড়েছিল। তবে সকাল থেকেই ফেরি চালু হওয়ায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।