রাঙ্গাবালীতে কলেজের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে শিক্ষককে মারধর, বিএনপির নেতার নামে মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বন্দ্বে এক শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলামসহ ১১ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন জানান ভুক্তভোগী ব্যক্তির ভাই। অভিযোগটি আমলে নিয়ে রাঙ্গাবালী থানাকে এজাহার নিতে নির্দেশ দেন বিচারক।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি চরমোন্তাজ আবদুল ছাত্তার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগে কর্মরত। মামলার বাদী তাঁর ভাই আইনজীবী জসীম উদ্দিন।

মামলার আরজিতে বাদী বলেছেন, গত ৩ ডিসেম্বর চরমোন্তাজ আবদুল ছাত্তার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটিতে আইনজীবী জসীম উদ্দিনকে সভাপতি করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১৯ জানুয়ারি রাতে আসামি নজরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা বাদীর ভাই এবং ওই কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রিয়াজ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে চরমোন্তাজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমীন জানান, নীতিমালা মেনেই আইনজীবী জসীম উদ্দিনকে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি করা হয়। কিন্তু নজরুল ইসলাম তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে সভাপতি করতে চাপ দেন। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন নজরুল। এ ঘটনায় ১১ জানুয়ারি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কলেজের অফিস সহায়ক মাঈনুদ্দিন। এ পরিস্থিতিতে ১৫ জানুয়ারি কলেজের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। গত রোববার প্রভাষক রিয়াজকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের বিষয়ে রিয়াজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। তাঁকে মারধর করা হয়নি। এ ছাড়া কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে অধ্যক্ষ দুর্নীতি করেছেন। তালা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই।’

বিএনপির স্থানীয় নেতা নজরুল ইসলামের কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলে তা দল মাথায় নেবে না বলে জানিয়েছেন রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. মুনিম আহম্মেদ। তিনি বলেন, নজরুল ইসলামের কর্মকাণ্ড জেলা বিএনপিকে অবগত করা হয়েছে।