‘বাবা, খিদার কামড় সওন যায়, শীতের কামড় সওন যায় না। গাঙ্গের পাড়ে ঘর, ঘরের বেড়া দিয়া খালি উতরা (উত্তর) অ্যাওয়াত (ঠান্ডা বাতাস) আয়। পাতলা খাতায় (কাঁথা) এই শীত মানে না। একটা কোম্বল কিনমু হেই টাহা জোডাইতে পারি না। প্যাডের খাওন জোডামু না কোম্বল কিনমু! তোমরা কোম্বল দেছো, মোর এত্তা উপকার অইছে যে কইয়্যা বুঝাইতে পারমু না। এখন রাইতে একটু আরামে ঘুমাইতে পারমু।'
কম্বল হাতে পেয়ে এ কথাগুলো বলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গামা-দুধল ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠি গ্রামসংলগ্ন চর গোমা গ্রামের জাহানারা বেগম (৬৮)।
জাহানারার স্বামী মোতালেব গাজী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। প্রতিবন্ধী বড় ছেলে কোনো কাজ করতে পারে না। ছোট ছেলে শ্রমিক হিসেবে যা আয় করেন, তা দিয়ে টেনেটুনে তিনজনের সংসারটা চলছে।
প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাকেরগঞ্জ উপজেলার চর গোমা গ্রাম, বরিশাল নগরের কালিজিরা, দক্ষিণ আলেকান্দা, রূপাতলী এলাকায় শীতার্ত ২২০ জন মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে চর গোমা গ্রামের ১০০ শীতার্ত মানুষ পান কম্বল। এর আগে গত বুধবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতার্ত মানুষ খুঁজে খুঁজে টোকেন দিয়ে আসেন প্রথম আলো বন্ধুসভার বরিশালের সদস্যরা।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে সহায়তার অর্থ পাঠাতে পারেন: ০১৭১৩–০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।