জমি লিখে না দেওয়ায় বাবার লাশ দাফনে বাধা, পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন

নীলফামারী জেলার মানচিত্র

নীলফামারীতে ছেলের নামে জমি লিখে না দেওয়ায় মৃত বাবার লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বাবাকে দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে ছেলে নওশাদ আলী (৩৫) লাশ দাফনে বাধা দেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অন্য আরেক জায়গায় ওই ব্যক্তিকে দাফন করা হয়।  

আজ শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান (৬০) আজ ভোরে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান। নওশাদ আলী তাঁর প্রথম স্ত্রীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়া মজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় দুজন নারীকে বিয়ে করেন। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ২ শতাংশ ও ছোট ছেলেকে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। আর প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে ৩ শতাংশ জমি দেন মজিবুর রহমান। কিন্তু জমি লিখে দেওয়ার আগে আজ ভোরে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তিন ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ায় বাবার লাশ আটক করে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন নওশাদ আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চাপড়া সরমজানি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহাবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে দাফন করতে বাধা দেওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। পরে বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশের হস্তক্ষেপে মজিবুরের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নওশাদ আলী কবর থেকে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কবরে শুয়ে থাকা নওশাদ আলী পালিয়ে যান। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে পুলিশের উপস্থিতিতে দাফন কাজ শেষ করা হয়।