মহাসড়কে ইজিবাইকে বাসের ধাক্কা, তিন শিশুসহ সাতজন নিহত

যশোর সদর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একটি ইজিবাইক দুমড়েমুচড়ে যা্য় । গতকাল সন্ধ্যায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কের লেবুতলা এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

যশোর সদর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকে থাকা তিন শিশুসহ সাতজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কের লেবুতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাবুল মুন্সির স্ত্রী মহিমা খাতুন (৪৮), একই গ্রামের হেলাল মুন্সীর যমজ ছেলে হাসান (৩) ও হোসেন (৩), মহিমার বোন সিকান্দারপুর গ্রামের রহিমা খাতুন (৩০) ও রহিমা খাতুনের মেয়ে জেবা (৬) এবং ইজিবাইকচালক বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের ইমরান হোসেন (২৫)। এ দুর্ঘটনায় আহত দুজন হলেন নিহত মহিমা খাতুনের মেয়ে সোনিয়া (৩০) ও সোনিয়ার মেয়ে খাদিজা (৪)। তাঁদের মধ্যে সোনিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় নিহত দুই ভাই হাসান ও হোসেন আহত সোনিয়ার সন্তান।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, মহিমা খাতুনের পরিবারের একজন সদস্য আগে থেকেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁকে দেখতে একই পরিবারের ছয়জন ইজিবাইকে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। যশোর-মাগুরা মহাসড়কের লেবুতলায় পৌঁছালে রয়েল পরিবহনের একটি বাস ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর দুই মেয়েসহ পাঁচ স্বজনকে হারিয়ে অনেকটা বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন যাদবপুর গ্রামের সদর উদ্দীন। তিনি হাসপাতালে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে মহিমা ও রাহিমা খাতুনসহ পাঁচ স্বজন মারা গেল। এটা মেনে নেব কীভাবে। আমার স্ত্রী এই কষ্ট সহ্য করতে পারবে না বলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়নি। এতগুলো লাশ আমি কেমনে বহন করব?’

এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, লেবুতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইজিবাইক চালকসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।