সিলগালা করা গুদাম থেকে ১১২৪ বস্তা চাল চুরি, ৩ আসামির স্বীকারোক্তি

আদালত
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় খাদ্য কর্মকর্তার জিম্মায় থাকা সিলগালা করা গুদাম থেকে ১ হাজার ১২৪ বস্তা সরকারি চাল চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ রোববার সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সুমাইয়া সিদ্দিকী তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন

স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার বাগবেড় গ্রামের বেলাল হোসেন (৩৫), আন্দরবাড়ী গ্রামের রুসাত ফকির (২৮) ও রায়হান কবির (২৭)। গতকাল শনিবার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিন আসামি সিলগালা করা গুদাম থেকে ১ হাজার ১২৪ বস্তা সরকারি চাল চুরির ঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের নাম ও পরিচয় জানিয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার থেকে জানা গেছে, গুদামে সরকারি চাল মজুতের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দি পৌর শহরের বাগবেড় এলাকায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও যুবলীগের কর্মী শাহাদৎ হোসেনের চালের গুদামে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে শাহাদৎ আগেই পালিয়ে যান। পরে কৃষি বিপণন নিবন্ধন, কেনাবেচার রসিদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়া এবং অবৈধভাবে সরকারি কর্মসূচির চাল মজুতের দায়ে শাহাদৎকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ১ হাজার ১৩০ বস্তা চালসহ গুদামটি সিলগালা করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের জিম্মায় দেন আদালত।

এদিকে চাল জব্দের ঘটনায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২২ ডিসেম্বর কমিটির সদস্যরা ওই গুদাম পরিদর্শনে গেলে সেখানে মাত্র ৬ বস্তা চাল দেখতে পান। বাকি চাল সেখানে ছিল না। অভিযোগ ওঠে, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহাদৎ তাঁর সিলগালা করা গুদাম থেকে রাতের আঁধারে ১ হাজার ১২৪ বস্তা চাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সারিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা করেন।

গুদামের মালিক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহাদৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খাদ্য বিভাগ থেকে নিবন্ধন নিয়ে তিনি চালের ব্যবসা করেন। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির ওই চাল তিনি বৈধভাবেই কিনেছেন। সিলগালা করা গুদাম থেকে চাল কীভাবে গায়েব হলো, সেটা তাঁর জানা নেই। ওই চাল সরানোর সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নেই।