হৃদ্রোগীদের জন্য সুখবর, চমেক হাসপাতালে নতুন ক্যাথল্যাব
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগে আরেকটি নতুন ক্যাথল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তবে এটি পুরোপুরি সেবার জন্য চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। গত মে মাসে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অব্যবহৃত দুটি ক্যাথল্যাবের মধ্য থেকে একটি চট্টগ্রামে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, চমেক হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগে বর্তমানে ১৬০ শয্যার বিপরীতে ২৫০ জন পর্যন্ত রোগী থাকেন। একটিমাত্র ক্যাথল্যাব দিয়ে দিনে গড়ে ৮টি অ্যানজিওগ্রাম, ২-৩টি রিং পরানো হয়। এ ছাড়া সপ্তাহে এক থেকে দুটি পেসমেকার লাগানো হয়। হাসপাতালে দুটি ক্যাথল্যাব থাকলেও ২০২২ সাল থেকে একটি নষ্ট। ফলে একটিমাত্র ক্যাথল্যাব দিয়েই রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছিল। অতিরিক্ত চাপের কারণে গত সেপ্টেম্বরে ওই ক্যাথল্যাবেও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে সেটিও বন্ধ ছিল পাঁচ দিন।
বর্তমানে সচল ক্যাথল্যাবটির মেরামতের মেয়াদ ২০২৭ পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু এটি এখনই পর্যাপ্ত সেবা দিয়ে ফেলেছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। এর আগে ২০২২ সালে একটি ক্যাথল্যাব নষ্ট হয়। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় ওই ক্যাথল্যাব মেরামতে তিন কোটি টাকার মতো দরকার। তাই মেরামতে না গিয়ে বিকল্প হিসেবে মানিকগঞ্জের অব্যবহৃত ক্যাথল্যাব আনার সিদ্ধান্ত হয়। এটি স্থাপনের কারণে রোগীদের সেবা বাড়বে বলে আশাবাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গতকাল এমবিবিএস, বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা ও হাসপাতাল পরিদর্শন এবং ক্যাথল্যাবের উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা–সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন উপদেষ্টা। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও হৃদ্রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনিসুল আউয়ালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওমর ফারুক ইউসুফ।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আমাদের হাতে সময় বেশি দিন নেই, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা বিদায় নেব। এই স্বল্প সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। চট্টগ্রামে নার্সিং পড়ার আগ্রহ কম। নার্সিং পেশাকে অসম্মানজনক মনে করা হয়। যার কারণে দেশের অন্যান্য বিভাগ থেকে চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোয় নার্স নিয়োগ দিতে হয়।’