পিরোজপুরে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পিরোজপুর জেলার মানচিত্র

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝেরপুল এলাকায় অবস্থিত সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ককটেল বিস্ফোরণ ও আসবাব ভাঙচুরের অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল করিম মোল্লা বাদী হয়ে ছাত্রদলের এক নেতাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় চার আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এজাহার নামীয় চার আসামি হলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ মল্লিক, উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের আবুল কালাম জোমাদ্দার ও একই গ্রামের আবুল কালাম, উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামের জাকির গাজী।

মামলার বিষয়ে ছাত্রদল নেতা মো. আরিফ মল্লিক বলেন, ‘মামলায় যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, তখন আমি মঠবাড়িয়া শহরে অবস্থান করছিলাম। মুঠোফোনে আমার অবস্থান ট্র্যাকিং করলে দেখা যাবে আমি কোথায় ছিলাম। বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন বানচাল করতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে।’
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল করিম মোল্লা উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপুল বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভেতরে এলোপাতাড়ি ককটেল নিক্ষেপ এবং অফিসের চেয়ার ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু অংশ জব্দ করে। ককটেল বিস্ফোরণে উত্তর মিঠাখালী গ্রামের জান্নাতুল নাঈম (২৫) ও একই গ্রামের সোহরাব হোসেন (৭২) আহত হন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাঝেরপুল বাজারের তিন ব্যবসায়ী বলেন, তাঁদের দোকান আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কাছাকাছি। সেদিন রাত ১০টা পর্যন্ত তাঁদের দোকান খোলা ছিল। ককটেল বিস্ফোরণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মামলার বাদী আবদুল করিম মোল্লা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ককটেল উদ্ধার করেছে। মাঝেরপুল এলাকার বেশির ভাগ দোকানদার বিএনপি করেন। তাঁরা তো সত্য কথা বলবেন না।