মাগুরায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ, তিনজন গুলিবিদ্ধ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর, মহম্মদপুর, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মহম্মদপুর বাজারে উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য আহত এবং বিএনপির তিন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, আজ বিকেল চারটায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির উদ্দেশ্যে মাগুরা-মহম্মদপুর সড়কের পল্লী বিদ্যুতের সামনে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে মহম্মদপুর বাজারে উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে তাঁদের সভা হওয়ার কথা ছিল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সেখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিথুন রায় চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বাজারের মধ্যে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে এবং শোভাযাত্রায় বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। একই সময়ে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ ঘটনাস্থলে এলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পেছন থেকে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন।

বিএনপি নেতাদের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলায় অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মহম্মদপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. রতন মণ্ডল, ছাত্রদল নেতা নবিদুল ইসলাম, মহম্মদপুর সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তারিক শিকদার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহম্মদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সুজন শিকদার। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

জানতে চাইলে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ঠিকঠাকভাবেই বিএনপির সভা চলছিল। একপর্যায়ে পেছন থেকে একটা গ্রুপ পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে এবং পুলিশের একটি গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে।