জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে একটি হত্যা মামলার আসামি দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের দুজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ মো. নুর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. দুলাল হোসেন (৫৭) ও মো. আওলাদ হোসেন (৫৫)। তাঁরা ক্ষেতলাল উপজেলার সুতরাইল গ্রামের মৃত আবদুস ছালামের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, সুতরাইল গ্রামের কোরবান আলী সরদারের সঙ্গে প্রতিবেশী দুই ভাই দুলাল হোসেন ও আওলাদ হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০০৮ সালের ২ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে কোরবান আলী সরদারের বড় ছেলে কোব্বাদ ও ছোট ছেলে মোমিনের স্ত্রী হাছিনাকে মারধর করা হয়।
এতে কোব্বাদ আলী গুরুতর আহত এবং ছোট ছেলে মোমিনের স্ত্রী হাছিনা সামান্য আহত হন। গুরুতর আহত কোব্বাদ আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতে মোমিনের স্ত্রী হাছিনা তাঁর ছোট ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁরা বাড়ির দরজা বন্ধ করেছিলেন, কিন্তু ঘরের দরজা খোলা রেখেছিলেন। গভীর রাতে প্রাচীর টপকিয়ে দুজন ঘরে ঢুকে গৃহবধূ হাছিনাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। হাছিনার ছেলে মেহেদী তাঁদের দুজনকে চিনতে পারে।
এ ঘটনায় পরদিন ৩ অক্টোবর নিহত গৃহবধূ হাছিনার শ্বশুর কোরবান আলী বাদী হয়ে দুলাল হোসেন ও আওলাদ হোসেনকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি দুজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। শুনানি শেষে আজ রোববার জেলা ও দায়রা জজ মো. নুর ইসলাম রায় ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরির্দশক আবদুল লতিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।