উজিরপুরে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেডডুবি, চালক ও সহকারী নিখোঁজ
বরিশালের উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালুবোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় বাল্কহেডের চালক ও তাঁর সহকারী নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে উজিরপুর ও বানরীপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মসজিদবাড়ি ইটভাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ দুজনের কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ দুজন হলেন বাল্কহেডের চালক পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার নান্দুহার গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৪০) ও মো. সাইজুদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল চারটার দিকে এমভি মর্নিং সান-৯ নামের একটি লঞ্চ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। রাত নয়টার দিকে লঞ্চটি মসজিদবাড়ি এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় ইফতি+রিজভী নামে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেড নদী পারাপার হতে গেলে ওই লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের আংশিক ক্ষতি হলেও হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ওই বাল্কহেডের মালিক হাবুল কাজী বলেন, বালুবোঝাই বাল্কহেডটি নদীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছিল। এ সময় লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। তখন লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে লঞ্চটি উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে অবস্থান নেয়। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিন উদ্দিন বলেন, আজ সকাল থেকে উজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাল্কহেডের চালক ও তাঁর সহকারীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। গতকাল রাতেই দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আজ ভোরে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটি মেরামত করে চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট ত্যাগ করেছে।