খাগড়াছড়িতে গুলিতে ৪ নেতা-কর্মী নিহত, দাবি ইউপিডিএফের

হত্যা
প্রতীকী ছবি

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে পানছড়ির দুর্গম এলাকা লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ইউপিডিএফের দাবি, গুলিতে নিহত হয়েছেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা। এ ছাড়া পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য হরি কমল ত্রিপুরা ও নীতিদত্ত চাকমা নামের দুজন নিখোঁজ আছেন।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর সঠিক তথ্য জানানো হবে।

পানছড়ি উপজেলার প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্রদেব চাকমা আজ সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চারটি লাশ এখনো ঘটনাস্থলে পড়ে আছে। বিষয়টি পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানিয়েছি।’

পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি প্রথম আলো।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির দাবি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত ১০টার দিকে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলির ঘটনায় এ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, আজ মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য তাঁরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। হামলার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের কারও সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা যায়নি।