গাজীপুর জেলার মানচিত্র

স্ত্রীকে হাফিজা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে  প্রচারণা চালান স্বামী মাসুদ রানা। লাশ উদ্ধারের দুই মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ তথ্য জানা গেছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গাচালা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। প্রতিবেদন আসার পর থেকে স্বামী পলাতক আছেন।

নিহত হাফিজা আক্তার (৩০) উপজেলার উত্তর মৌচাক এলাকার হাসেম সিকদারের মেয়ে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২৫ জুলাই নিহত হাফিজার বাবা হাশেম সিকদার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম বলেন, আজ মামলার আসামি হাফিজার স্বামী মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চুপকারচর এলাকার আহজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানার সঙ্গে হাফিজার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁরা কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গাচালা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় কারখানায় চাকরি করতেন। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর জেরে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গত ২৮ জুন তাঁদের ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে হাফিজার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় স্বামী মাসুদ রানা তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করেন। পরে পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওই ঘটনার প্রায় দুই মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এলে জানা যায়, হাফিজা আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পর থেকে স্বামী মাসুদ রানা আত্মগোপন করেন। এ ঘটনায়  হাফিজার বাবা হাশেম সিকদার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় হাফিজার স্বামী মাসুদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়। তাঁরা ময়নাতদন্তও করতে চাননি। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে জানা গেছে, হাফিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।