১১ শিক্ষকের বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৩ জন, একজনও পাস করেনি

টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়াপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় তিন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। গতকাল শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ২০২১ সালে একজন ও ২০২২ সালে দুজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। এবার তিনজন শিক্ষার্থী পড়াশোনায় খুবই দুর্বল ছিল। ফলে তারা পাস করতে পারেনি। আগামী বছর ১৭ জন পরীক্ষা দেবে। তখন নিশ্চয়ই ভালো ফল করবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে কালিয়াপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করলেও বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী আছেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৬। বিদ্যালয়টি ২০২১ সালে প্রথম এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পায়। ওই বছর মাত্র একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে। ২০২২ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দুই হয়। দুজনই পাস করে। এবার ওই বিদ্যালয় থেকে তিনজন পরীক্ষা দিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। এতে এমপিওভুক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা চাকরি করছি, কিন্তু বেতন পাইনি। এবার সবাই পাস করলে বেতনের জন্য আবেদন করতে পারতাম। আমাদের বিদ্যালয়ের পেছনের দুই বছর শতভাগ পাস ছিল। এবার পাসের হার শূন্য হওয়ায় আমরা বেকায়দায় পড়ে গেলাম।’

গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় পাস করতে পারেনি বলে জানিয়েছে বিদ্যালয়টির পরীক্ষার্থী কোকিলা আক্তার।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় মাত্র একটি বিদ্যালয়ে ফলাফলের শতকরা হার শূন্য। ফলে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।