নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ নেতা-কর্মী রিমান্ডে
নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের গ্রেপ্তার ১০ নেতা-কর্মীকে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসেনের আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
যাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে, তাঁরা হলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মধ্য নরসিংহপুর এলাকার মো. আবদুল সাত্তার (২২), নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আলীরকেট ইউনিয়নের ডিক্রিরচর এলাকার মো. মজিবুর রহমান (৫২), শহরের পালপাড়ার রঞ্জন কুমার দেবনাথ (৩৬), রূপগঞ্জ থানার সিংলাবো এলাকার রাজিব (৩৮), সোনারগাঁ মেঘনাঘাট এলাকার মো. জনি (৩৮), বন্দর থানার মদনপুর উত্তর এলাকার মো. বাদল (৩৩), আড়াইহাজার থানার রামচন্দ্রী এলাকার মো. আবুল কালাম ভূঁইয়া (৪৮), সোনারগাঁ বউবাজার মেঘনাঘাট এলাকার রিমন (২২), ইমন (১৮) ও আড়াইহাজার ময়নাবাজ এলাকার মো. সোহান (১৫)।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাওন প্রধান নামের এক তরুণ নিহত হন। এ ছাড়া পথচারী, নারীসহ গুলিবিদ্ধ হন ২৬ জন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। এ সময় ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকা ও দুই নম্বর রেলগেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
শাওন প্রধান নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকে বিএনপি তাঁকে যুবদল কর্মী হিসেবে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ শাওনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করে মিছিল করেছে। তবে শাওন প্রধানের বিএনপির মিছিলে যোগদানের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
শাওন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই মিলন হোসেনকে বাদী দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা করে করে পুলিশ। মিলনের পরিবারের দাবি, তাঁরা কোনো মামলা করেননি। পুলিশ সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে এ মামলা সাজিয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সংঘর্ষ চলার সময় তাঁদের আটক করা হয়েছিল।