কক্সবাজারে ট্রায়াথলন, প্রচণ্ড গরমেও প্রতিযোগীরা প্রাণবন্ত
কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রেজুখাল এলাকা। আজ শনিবার সকালে রেজুখালে শুরু হয় ৭৫০ মিটারের সাঁতার প্রতিযোগিতা। এরপর চলে ২০ কিলোমিটারের সাইক্লিং ও পাঁচ কিলোমিটারের দৌড় প্রতিযোগিতা। পৃথক তিনটি বিভাগে অংশ নেন এক বিদেশি নারীসহ ১৯৮ নারী–পুরুষ। প্রচণ্ড গরম কাবু করতে পারেনি প্রতিযোগীদের। প্রাণবন্ত ছিল নতুন এই বৈশাখী ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজারের সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বৈশাখী ট্রায়াথলন–২০২৫–এর আয়োজন।
সকাল আটটার দিকে মেরিন ড্রাইভের রেজুখাল থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় শুরু হয় সাঁতার প্রতিযোগিতা। আবার রেজুখাল পয়েন্ট থেকে মেরিন ড্রাইভের বেওয়াচ, লাল কাঁকড়া বিচ ও পাটুয়ারটেক সৈকত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল সাইক্লিং ও দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন। সুস্থ–শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, আত্মবিশ্বাস ও সহিষ্ণুতা অর্জনের পাশাপাশি পর্যটকদের উৎসাহিত করা ছিল আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও অবিচল সংকল্পের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বাধাকে অতিক্রম করে আত্মবিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ১৯৮ অংশগ্রহণকারী (সাঁতারু, সাইক্লিস্ট ও দৌড়বিদ)। প্রতিযোগিতায় এক বিদেশি নারী অংশ নিয়ে সবার নজর কাড়েন।
দুপুরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম। তিনি বলেন, বৈশাখী ট্রায়াথলন–২০২৫ পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি সর্বসাধারণের মনোদৈহিক সুস্থতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে। এই ট্রায়াথলন স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনার সৃষ্টি করবে।
বৈশাখী ট্রায়াথলন–২০২৫ প্রতিযোগিতায় দুটি ক্যাটাগরিতে দুই নারী ও ১৯৬ পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। পেশাদারি ক্যাটাগরি গ্রুপে নারী ও পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন যথাক্রমে মো. শামসুজ্জামান ও ফেরদৌসী আক্তার মারিয়া। অ্যামেচার ক্যাটাগরি গ্রুপে পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হন মো. মহিউদ্দিন। এ ছাড়া প্রতিটি শ্রেণির প্রথম ১০ অংশগ্রহণকারীকে স্মারক ক্রেস্ট ও ট্রায়াথলন সম্পন্নকারী প্রত্যেককে মেডেল ও ই–সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।