বন্ধুর সহায়তায় ভোট দেন নাঈম, ইমরানকে সহায়তা করেছেন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত ব্যক্তি

বন্ধুর সঙ্গে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও প্রার্থী নাঈম হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনেছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দুই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে একজন বন্ধু ও অন্যজন ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তির সহযোগিতায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

ওই দুই প্রার্থী হলেন ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের স্বতন্ত্র পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সহসম্পাদক পদপ্রার্থী নাঈম হোসেন এবং ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও শেরেবাংলা ফজলুল হক হলে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।

আরও পড়ুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ভোট দেন নাঈম হোসেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে পরিদর্শন করেছেন। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি আমার পছন্দের প্রার্থীদের নাম বলেছি, আর বন্ধু সে অনুযায়ী ব্যালটে ক্রস চিহ্ন দিয়েছেন। এভাবেই আমার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটিতে প্রায় ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।’

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নাঈমের এই পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর পাশে ছায়ার মতো ছিলেন বন্ধুরা। প্রচারণার দিনগুলোয় ক্লান্তিহীনভাবে তাঁর সঙ্গে হেঁটেছেন, ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বার্তা।

মো. ইমরান হোসেন
ছবি: প্রথম আলো

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করে নাঈম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ছিল আমাদের জন্য ব্রেইল ব্যালটের ব্যবস্থা করা। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনে ভোট দেন ইমরান হোসেন। তিনি শেরেবাংলা ফজলুল হক হলে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা একজন ব্যক্তির সহযোগিতায় নিজের ভোট দিই। পরে ওই ব্যক্তি জোরে জোরে প্রার্থীদের নাম বলেছেন। আর আমি থামিয়ে বলেছি, এটা। মূলকথা অন্যজনের বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে ভোট দিতে হয়েছে।’

আরও পড়ুন