শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদদাতা শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় মদদদাতা শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় মদদদাতা শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। পরে মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মিছিল সংক্ষিপ্ত করেন তাঁরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুর রশিদ (জিতু) বলেন, ‘১৫ জুলাই আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার চাইতে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। এই হামলার মদদদাতা ছিলেন কিছু নামধারী শিক্ষক। এসব শিক্ষকের প্রতি নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। আপনাদের শিক্ষক হিসেবে উচিত ছিল ন্যায়–নীতির পক্ষে থাকার। কিন্তু আপনারা সাবেক সরকারের চাটুকারিতা করে শিক্ষক থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। অনেক শিক্ষক ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। বাকি যাঁরা পদত্যাগ করেননি, তাঁদের অতি দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।’

একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের চারজন শিক্ষকের চাকরিচ্যুত করে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ বেলা দেড়টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেসব শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছেন, তাঁরা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল হাবীব, মহিবুর রৌফ।

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার মদদদাতা এবং হামলার পরবর্তী সময় যেসব শিক্ষক ছাত্রলীগের পক্ষে ছিলেন, তাঁদের পদত্যাগ চাই। এর মধ্যে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ (রঙ্গন) হামলার আগে বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বৈঠক করে এই হামলার মদদ দিয়েছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যখন ছাত্রলীগ হামলা চালাচ্ছিল, তখন তার পাশে টিচার্স ক্লাবে দুজন সাংবাদিক আশ্রয় নিলে ওই শিক্ষকেরা তাঁদেরকে আশ্রয় দেননি। এ খুনি শিক্ষকদের শিক্ষকতা করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। অবিলম্বে তাঁদের চাকরিচ্যুত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’