কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত, সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেশের বিভিন্ন জেলার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ শনিবার বিভিন্ন এলাকার কারাগার থেকে তাঁরা জামিনে বের হন। আবার কারও কারও জামিনে মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রংপুর
রংপুরে দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১০ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আটজন। বাকি দুজনের আজ ছাড়া পাওয়ার কথা আছে। এদিকে রাজশাহীতে পাঁচ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক এফ এম আহসানুল হক শুনানি শেষে তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় রংপুর মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলায় শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে জামিন শুনানি করা আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে জামিননামা দাখিল করে জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পর গতকাল রাতে আট শিক্ষার্থী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আশা করছেন, বাকি দুই শিক্ষার্থী আজ কারামুক্ত হবেন।
জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন মাওবিন হাসান মুহিন, রাকিব হোসাইন, আবদুল্লা ইবনে জুবায়ের, মো. মাহিন, আমির হামজা আমির, তৌফিক ওমর ধ্রুব, পাভেল মিয়া, আল মারজান, নিয়াজ আহাম্মেদ রকি ও সৌরভ মিয়া।
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাপেক্ষে কারাগার থেকে গতকাল রাত ১১টার পর আটজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী
রাজশাহীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন দুটি আদালত। আজ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে দুজনকে এবং অতিরিক্ত সিএমএম আদালত থেকে তিন ছাত্রের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে এই জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের পক্ষের আইনজীবী পারভেজ তৌফকি জাহেদী বলেন, অতিরিক্ত সিএমএম আদালতের বিচারক শফিউল আলমের আদালতে তিন ছাত্রের জামিনের শুনানি হয়। তাঁরা হচ্ছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের জায়গীরপাড়া গ্রামের মো. রাব্বি, আহনাব আকিব ও বাগমারা উপজেলার রাকিবুর রহমান। এ ছাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাদিউজ্জামানের আদালতে গোদাগাড়ীর ইমরান ফরহাদ ও পুঠিয়ার সৌরভ আলীর জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি আদালতের বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র ইতিমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নীলফামারী
নীলফামারীতে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে নীলফামারীর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২–এর বিচারক সহদেব চন্দ্র রায় এ জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া পরীক্ষার্থীর নাম মো. মিনহাজ পায়েল (২০)। তিনি সৈয়দপুর উপজেলা শহরের নিয়ামতপুর বানিয়াপাড়া মহল্লার মো. ইমদাদুল হকের ছেলে। তিনি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সৈয়দপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএম) থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার মামলায় গত ২৪ জুলাই সৈয়দপুর থানা-পুলিশ মিনহাজ পায়েলকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁর আইনজীবী অর্জুন বিশ্বাস বলেন, মিনহাজ পায়েল এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিবেচনায় আজ আদালতের বিশেষ বেঞ্চ বসে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার চার এইচএসসি পরীক্ষার্থী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আজ বেলা দেড়টার দিকে কারাগার থেকে তাঁরা বের হন।
কারামুক্ত হওয়া পরীক্ষার্থীরা হলেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মিনহাজুল ইসলাম আবদুল্লাহ, নরসিংদীর জগলী বীরপুর এলাকার মির্জা সাদিকুল রহমান, নরসিংদীর রায়পুরার রাতুল ভূঁইয়া ও খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার মো. হেলাল। এর মধ্যে তিনজন হাইসিকিউরিটি কারাগার ও একজন কারাগার পার্ট-২ থেকে বের হন।
হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, তাঁর কারাগারে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিনজনের জামিনের কাগজ আজ সকালে কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই–বাছাই করা হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে তাঁদের স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নরসিংদী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার আসামি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২–এর জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বলেন, খুলনার শিক্ষার্থী হেলাল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হলে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁর জামিনের কাগজ যাচাই–বাছাই শেষে আজ বেলা দুইটায় তাঁর মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মাগুরা
মাগুরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সব্যসাচী রায় তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।
দুপুরে তাঁরা মাগুরা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ১৮ ও ২৪ জুলাই সদর ও শ্রীপুর থানার দুটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
জামিনে মুক্তি পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন সদর উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মো. ওলিয়ার রহমানের ছেলে মো. নিহাজ উদ্দিন (১৯) ও শ্রীপুর উপজেলার চর চৌগাছি গ্রামের আমিনুজ্জামান শেখের ছেলে মো. জিহাদ শেখ (১৯)। তাঁদের মধ্যে নিহাজ মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও জিহাদ শ্রীপুরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার ৪ এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁরা কারামুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
কারামুক্ত পরীক্ষার্থীরা হলেন নাশকতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার রাজধানীর ডেমরার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইজতেজার সৃজন চৌধুরী ও মাহতাব জামাল মাহিন। অপর দুই পরীক্ষার্থীর নাম আবদুল কাইয়ুম ও বাঁধন; তাঁরা কোন কলেজের শিক্ষার্থী, তা জানা যায়নি।
ইজতেজারের ভাই ইফতেখার সায়মন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছোট ভাই শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার চার এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিনের আদেশ গতকাল কারাগারে এলে তাঁদেরকে রাতেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইজতেজার সৃজন চৌধুরী ও মাহতাব জামাল মাহিনকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১৯ জুলাই তাঁদেরকে ফতুল্লা মডেল থানার গত জানুয়ারি মাসে নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তাঁরা কারাগারে ছিলেন।
দিনাজপুর
দিনাজপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ছয় শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে দিনাজপুর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মনিরুল ইসলাম তাঁদের জামিন দেন। দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিন পাওয়া ওই শিক্ষার্থীরা হলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার মোগরপাড়া গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে সামিউল ইসলাম (১৯), চিরিরবন্দর উপজেলার কলেজপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবদুল মান্নান (২৫), একই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মো. হাফেজউদ্দিনের ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন (১৯), সদর উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার আবদুর রকিবের ছেলে আবু রায়হান (১৯), ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে আবদুল আলীম ওরফে আরিয়ান (২০) এবং সদর উপজেলার চাউলিয়াপট্টি এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে রাকিব হাসান (২৪)। এর মধ্যে শুধু সামিউল ইসলাম এজাহারনামীয় আসামি। আর রাকিব হাসান ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দিনাজপুরে সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন থানায় মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ১২৮ জনকে। অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন দুই হাজারের বেশি। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৯ জন।
কুমিল্লা
কুমিল্লায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার ১৫ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম। তিনি জানান, আজ বেলা আড়াইটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত জাহান এই শিক্ষার্থীদের জামিন মঞ্জুর করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার জানান, তিনি কয়েকজনের জামিন মঞ্জুরের কাগজ পেয়েছেন। যখনই যাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর হচ্ছে, কাগজপত্র পাচ্ছেন, তাঁরা কারাগার থেকে বের হচ্ছেন।
সৈয়দপুর
নীলফামারীর সৈয়দপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা মামলায় মিনহাজ পায়েল (২০) নামে গ্রেপ্তার এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে শুনানি শেষে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সহদেব চন্দ্র রায় পরীক্ষার্থী বিবেচনায় ৫০০ টাকা বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
মিনহাজ উপজেলার নিয়ামতপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে। তিনি সৈয়দপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
আদালতের পিপি অক্ষয় কুমার রায় বলেন, গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার মিনহাজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। মিনহাজ ছাড়াও এ ধরনের ঘটনায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী গ্রেপ্তার থাকলে অভিভাবকদের আদালতে যোগাযোগ করার জন্য বলা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় জেলার সৈয়দপুর থানা-পুলিশ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে মিনহাজ পায়েল নামের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় আদালত আজ তাঁর জামিন দিয়েছেন। বাকিরা জেলহাজতে আছেন।
মাদারীপুর
মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার ৩ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজিদ উল হাসান চৌধুরী তাঁদের জামিন দেন। কারামুক্ত হওয়া পরীক্ষার্থীরা হলেন তানভীর কাজী, মানজারুল ইসলাম রাব্বি ও নূর আলম সরদার।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর, রাজশাহী; প্রতিনিধি, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, মাগুরা, দিনাজপুর, মাদারীপুর, সৈয়দপুর (নীলফামারী) এবং সংবাদদাতা, কুমিল্লা]