কলাপাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের পুকুরে ধরা পড়ল ইলিশ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পুকুরে ধরা পড়েছে ইলিশটি। আজ শনিবার দুপুরে জালে এটি ধরা পড়েছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের পুকুরে ধরা পড়েছে একটি জীবন্ত ইলিশ। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে পুকুরে জাল ফেললে ইলিশটি ধরা পড়ে।

ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম ইলিশ ধরা পড়ার ছবি তাঁর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। তিনি সেখানে লেখেন, ‘কলাপাড়ার ইউএনওর বাংলো পুকুরে জীবিত ইলিশ! পুকুরের সাথে পার্শ্ববর্তী খালের একটি সংযোগ রেখেছিলাম। হয়তো সেখান থেকে ইলিশটি প্রবেশ করতে পারে।’ তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘আমাদের খালগুলো পরিষ্কার রাখতে পারলে মাছের আনাগোনা বাড়বে।’

ইউএনও রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ, এটা সত্যিই বিস্ময়কর খবর। ইলিশ ধরা পড়ার খবর শুনে একনজর দেখার জন্য আশপাশের অনেক মানুষ ভিড় করেছিল। পুকুর থেকে ডাঙায় তোলার পর অবশ্য ইলিশটি মারা গেছে।’ তিনি জানান, ধরা পড়া ইলিশটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ ইঞ্চি এবং প্রস্থ সাড়ে ৩ ইঞ্চি। এ ছাড়া একই জালে লাক্ষা, কোরাল, তেলাপিয়া, রুই, কাতল, পারসে, মিনার কাপ ও চিংড়িও ওঠে।

মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলে মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাকে পুকুরের মাছ ধরার জন্য ডাইক্যা আনা হয়। আমি আরও কয়েকজন জাইল্যা লইয়া পুকুরের এক পাশ দিয়া আরেক পাশে টান দিলে, অন্য মাছের সাথে ইলিশ মাছটাও ধরা পড়ে। পুকুরে ইলিশ মাছ দেইখ্যা তো আমি অবাক হইয়া গেছি।’

ইলিশ গবেষক ও পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের পুকুরে ২ হাজার ২০০ ইলিশের পোনা ছাড়া হয়েছিল। আমি তখন উদ্যোগী হয়ে এসব ইলিশ ছেড়েছিলাম। সে সময়ে ছাড়া ইলিশই হচ্ছে আজকের ধরা পড়া ইলিশ, এটা পরিষ্কার। ইলিশ যে ৭-৮ বছর বেঁচে থাকে, তা বুঝতে পারলাম।’