বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার; পুলিশের ধারণা, ‘আইফোন কেড়ে নিতে হত্যা’

মরদেহ
প্রতীকী ছবি

সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকায় নিখোঁজের তিন দিন পর ইমন আহমদ (২০) নামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শেওলা ইউনিয়নের শালেস্বর গ্রামের একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ইমনের এক বন্ধুকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহের হদিস মেলে।

রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ইমন আহমদ। এ ঘটনায় ইমনের বড় ভাই গত সোমবার বিয়ানীবাজার থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নিহত ইমন আহমদ কুড়ারবাজার ইউনিয়নের খশির গ্রামের মুতলব মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম (২২) নামে ইমনের এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। ইমনের আইফোন ছিনিয়ে নিতে তাঁর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আটক তরুণ।

নিহতের পরিবার বলছে, ইমন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিলেন। এলাকার সবাই তাঁকে স্নেহ করতেন। তাঁর বড় ভাই প্রবাসে থাকেন। বড় ভাই ইমনকে একটি আইফোন ১৫ প্রো-ম্যাক্স দিয়েছিলেন। ওই মুঠোফোনের প্রতি আগ্রহ ছিল আশরাফুলের। ইমন ও আশরাফুল একই গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ নিখোঁজের জিডি তদন্ত করতে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রাথমিক সন্দেহে আশরাফুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আশরাফুল বলেন, দুজন মিলে ইমনকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গ্রাম থেকে দূরে নিয়ে যান। পরে বাজার থেকে রশি কিনে নিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়। লাশ লুকাতে হাত–পা বেঁধে একটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। ইমনের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া আইফোনটি সিলেটে নিয়ে বিক্রি করে দেন আশরাফুল।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহত ইমনের কাছে থাকা আইফোন ছিনিয়ে নিতেই শ্বাসরোধে তাঁরই দুই বন্ধু হত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক দেখানো হয়েছে। অপরজনকে আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।