সিলেটে গরুবাহী ট্রাক ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জুল হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে গরুবাহী ট্রাক ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে লাক্কাতুরা ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি চাকু জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সিলেটের পশ্চিম পীর মহল্লা এলাকার তোফাজ্জুল হোসেন (২১) ও একই এলাকার মো. উমর ফারুক (২০)। তাঁদের মধ্যে তোফাজ্জুল সিলেট বিমানবন্দর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে সুয়াইবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি তিনটি গরু কিনে ট্রাকচালক সোলেমান আহমদকে নিয়ে সিলেটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে গরুর রাখাল জাহাঙ্গীর আলমও ছিলেন। রাত ১০টার দিকে ট্রাকটি সিলেট-বিমানবন্দর সড়কে পৌঁছালে চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে আসা কয়েকজন যুবক অস্ত্র দেখিয়ে ট্রাক থামানোর জন্য বলেন। কিন্তু ট্রাকচালক না থামিয়ে সিলেটের দিকে এগোতে থাকেন। একপর্যায়ে ট্রাকচালক লাক্কাতুরা ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে চারটি মোটরসাইকেল সামনে ও পেছনে ঘিরে ধরে।

একপর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গরুর ট্রাকগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেস। এ সময় ট্রাকচালকসহ অন্যরা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে মোটরসাইকেলসহ তোফাজ্জুল হোসেনকে মোটরসাইকেলসহ আটক করেন। একপর্যায়ে অন্যরা তিনটি মোটরসাইকেলে সিলেটের দিকে পালিয়ে যান। পরে আটক ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ট্রাকচালকসহ অন্যরা। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে লাক্কাতুরা এলাকা থেকে উমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চাকু জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ প্রথম আলোকে বলেন, তোফাজ্জুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।