তীব্র আন্দোলনের আশঙ্কায় মকসুদকে গ্রেপ্তার, অভিযোগ সিলেট বিএনপির

সিলেটে জেলা যুবদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে
ছবি: আনিস মাহমুদ

সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে—এমন আশঙ্কায় সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে জেলা ও মহানগর যুবদল আয়োজিত নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশে বক্তারা এ অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা মকসুদ আহমদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেও কয়েকজন নেতা-কর্মী বক্তব্য দেন।

সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বখত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. সম্রাট হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন করেন সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম। এতে আরও বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহিদ সোহেল প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মকসুদ আহমদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি একেবারেই কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক। বিরোধী কণ্ঠ স্তব্ধ করতে নির্যাতনের চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মামলা, হামলা ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে হবে।

গতকাল বুধবার ভোরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মকসুদ আহমদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। তাঁকে পুরোনো একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ১০ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলা যুবদলের সম্মেলন শেষে সংগঠনের কাউন্সিলরদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মকসুদ আহমদ।