কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৪৪ বছর কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

শেরপুরে এক কিশোরীকে (১৪) অপহরণ এবং ধর্ষণের দায়ে টুটুল মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দুটি ধারায় ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত টুটুল মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে টুটুল মিয়াকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর অপহরণের দায়ে তাঁকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের দিন থেকে এই সাজা কার্যকর হবে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ মে বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার অষ্টম শ্রেণির ওই কিশোরী নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় টুটুল মিয়া কিশোরীকে অপহরণ করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ১৪ মে টুটুল মিয়া, তাঁর এক ছোট ভাই ও মা-বাবাসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর থানায় মামলা করেন। এরপর সদর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং টুটুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর শুধু আসামি টুটুল মিয়ার নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অন্য আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় আদালত থেকে জামিন নিয়ে টুটুল পালিয়ে যান। শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি মো. গোলাম কিবরিয়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামি টুটুল পলাতক থাকায় তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে আসামিপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।