‘শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানভীতি দূর করতে ভূমিকা রাখছে ফিজিক্স অলিম্পিয়াড’
ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের মতো আয়োজন শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমুখী করেছে, পড়াশোনামুখী করেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের বিজ্ঞানভীতি কাজ করে, তা দূর করতে ভূমিকা রাখছে এই অলিম্পিয়াড।
আজ শুক্রবার দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের বিভাগীয় আঞ্চলিক পর্বে এসব কথা বলেন বক্তারা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় এই আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি। আয়োজনে ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে থাকছে কিশোর আলো ও বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা। টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে আছে বিডিকম।
আজ সকাল থেকে অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে আসেন। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াড ও বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন ওড়ানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ওয়াদুদ মণ্ডল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দিনাজপুর শাখার ব্যবস্থাপক অপূর্ব রায়, দিনাজপুর সংগীত ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মারুফা বেগম।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অধ্যক্ষ ওয়াদুদ মণ্ডল বলেন, ঘুম হতে জেগে ওঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বপর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বিজ্ঞান। বিশেষ করে পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্কটা অত্যন্ত নিবিড়। বিজ্ঞান চর্চা বর্তমান সময়ে মানবজাতিকে অনেকখানি এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিশেষত সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে বিজ্ঞানের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মারুফা বেগম বলেন, ‘বিজ্ঞানমনস্ক জাতি আমাদের জন্য খুবই জরুরি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও প্রথম আলো দীর্ঘদিন ধরে এই চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ধরনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে প্রশ্ন জেগে উঠবে। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারব। যত বেশি বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ তৈরি হবে তত বেশি কুসংস্কারমুক্ত হতে পারব।’
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের চিন্তাকে জাগিয়ে তোলার জন্য এই আয়োজন বলে মন্তব্য করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অপূর্ব রায়। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিজ্ঞান চেতনা জেগে উঠবে। এক দিন উপমহাদেশে আরও বেশি বিজ্ঞান গবেষক তৈরি হবে এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে নেতৃত্ব দরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সকাল সাড়ে নয়টায় আঞ্চলিক পর্বের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এর আগে অনলাইন বাছাইপর্বে নির্বাচিত ৫৯৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শুক্রবার চার ক্যাটাগরিতে ৪৭৬ জন শিক্ষার্থী এই আঞ্চলিক পর্বে অংশ নেয়। ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের বাছাই পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চলবে প্রশ্নোত্তর পর্ব ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করবেন দিনাজপুর বন্ধুসভার সভাপতি মুনিরা শাহনাজ চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবদুস সালাম, বিশ্বজিৎ দাস, দিনাজপুর স্কুল অব লিবারেটরসের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক।