এক যুগ পর ছাত্রলীগের কমিটি, সভাপতি আলমগীর, সম্পাদক মাসুদ

আলমগীর হোসেন ও এম এম মাসুদ রানাছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ফিশারিজ অনুষদের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেনকে সভাপতি ও একই ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এম এম মাসুদ রানাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ৫৯ সদস্যের কমিটিতে সহসভাপতি পদে ৩৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৭ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১১ জনকে রাখা হয়েছে।

ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সর্বশেষ এক বছর মেয়াদি কমিটি করা হয়েছিল ২০১০ সালের অক্টোবরে। ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ইফতেখারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী অরুণ কান্তি রায়। প্রায় ১০ মাস পর ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রের অনুমোদন নেন তাঁরা। তাঁদের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় ২০১৫ সালে ক্যাম্পাস ছাড়েন তাঁরা। পরে নতুন কমিটি আর দেওয়া হয়নি। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সেই কমিটির কার্যক্রম বিলুপ্ত ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে নতুন কমিটির জন্য পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান জানানো হলে তিন শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী পদ পেতে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন।

এদিকে কমিটি না থাকায় ৬-৭টি উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। নিজেদের মধ্যে কোন্দল, ব্যক্তিগত রেষারেষি ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আদালতে মামলাও হয়েছে। গত ১১ মার্চ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মিসভায় যোগ দিয়ে দ্রুত কমিটি ঘোষণা কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

নতুন কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান কমিটিতে যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ত্যাগী নেতা-কর্মী। কমিটি না থাকার পরও দলের কার্যক্রমে এতটুকু ছেদ পড়তে দেননি। নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বিবাদ হয়তো ছিল। ভবিষ্যতে সবাইকে নিয়ে ছাত্রদের অধিকার আদায়, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল করতে কাজ করে যাবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সংগঠনের যে উদ্দেশ্য, তা সফল করতে সচেষ্ট থাকবেন।