নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক পলাতক ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিতে পারে: বিএনপি নেতা এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সবাইকে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। এটি দীর্ঘদিনের ডিমান্ড। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক পলাতক ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিতে পারে।
আজ রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। শহরের লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আর যেন না হয়। একটা যৌক্তিক সময়ে যুগোপযোগী নির্বাচন দিতে হবে এবং তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’ তিনি বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছর আমরা সংগ্রাম করেছি। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা দেশে স্বাভাবিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। এ সরকারকে আমরা সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করছি এবং করব। সরকারের কাছে আমাদের অনেক বেশি প্রত্যাশা ও দাবি আছে। সবগুলো যে তারা মানতে পারবেন, তা আমরা মনে করি না। কিছু যৌক্তিক দাবি আছে, সেটা মানার তাঁরা চেষ্টা করবেন।’
দেশের সাধারণ মানুষ নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করেছেন দাবি করে অনুষ্ঠানে এ্যানি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছেন। নির্বাচন দিতে হবে, তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন—তিনি এই দাবিটাই করেছেন। এই দাবি করা খুবই যৌক্তিক। দেশের সাধারণ মানুষ এই নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন-সংগ্রাম ও লড়াই করেছে। সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁদের শোনার মনমানসিকতা থাকতে হবে। কথাগুলো যদি না শোনেন, উপলব্ধি না করেন এবং বিএনপি মহাসচিব সম্পর্কে একটা কাউন্টার তৈরি হয়, এটা কিন্তু ঠিক হবে না। এটা জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল হয়ে যেতে পারে।’
কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদার হোসেন, প্রধান শিক্ষিকা খোদেজা খাতুন প্রমুখ।