রাজশাহীর পবায় বাক্স থেকে হাটের দরপত্র লুট, সংঘর্ষ, ককটেল ও গুলির শব্দ

রাজশাহীর পবায় হাটের ইজারা জমা দেওয়ার সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় টেন্ডার বাক্সের দরপত্র ছিনতাই করা হয়েছে। ককটেলের সঙ্গে গুলিও ফুটেছে
ছবি : প্রথম আলো

রাজশাহীর পবা উপজেলার হাটবাজারের দরপত্র জমা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বাক্স ভেঙে দরপত্র লুট করা হয়েছে। ৮-১০টি ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে গুলির শব্দও শোনা গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আজ সোমবার দুপুরে পবা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পেটে ছুরিকাহত হয়ে শাকিলুর রহমান নামে এক যুবদল নেতা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শাকিলুর রাজশাহী নগরের শাহমখদুম থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। সংঘর্ষের পর উপজেলার প্রশাসন হাটবাজার ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এ–সংক্রান্ত একটি নোটিশও জারি করেছে।

পবা উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি পবা উপজেলার ১২টি হাটের ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন। আজ ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। ১২টি হাটের মধ্যে অন্যতম খড়খড়ি হাট। এই হাটের দরপত্রকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত আমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার পর ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনই বলা যাচ্ছে না কারা কারা এ ঘটনায় জড়িত। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা বের করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।

ইউএনও আরও বলেন, সকাল থেকে বেশ কয়েকটা দরপত্র জমা পড়েছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েক রাউন্ড গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় দরপত্র বাক্স ভেঙে জমা হওয়া দরপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দরপত্র বাক্স রাখা ছিল ইউএনওর কার্যালয়ের নিচতলায়। সেখানে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দরপত্র দাখিল করতে বাধা দেয়। এরপর গুলি, ককটেলের বিস্ফোরণ এবং বাক্স ভেঙে সব দরপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত উপজেলা চত্বরে দরপত্র বাক্স পড়ে ছিল। বাক্সের এক অংশ খুলে ফেলা হয়েছে। এর ভেতরে কোনো দরপত্র পাওয়া যায়নি। এ সময় উপজেলা চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের চিহ্নও পাওয়া যায়। একটি তাজা ককটেলও পড়ে ছিল। ঘটনার পর খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, দরপত্র জমা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।