নারায়ণগঞ্জে ফেটে যাওয়া পাইপলাইন মেরামত হয়নি, গ্যাস সরবরাহ বন্ধে ভোগান্তি
দুই দিনেও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় পঞ্চবটী-মুক্তারপুর উড়ালসড়কের পাইলিংয়ের সময় ফেটে যাওয়া পাইপলাইন মেরামত করতে পারেনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে জেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্যাস না থাকায় আবাসিক গ্রাহকের ভোগান্তির পাশাপাশি শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে কথা হয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মশিউর রহমানের সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, চারদিকে লোহার পাতের ভারী সুরক্ষাবেষ্টনী দিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি খুঁড়ে ২৫ ফুট গভীরে প্রধান পাইপলাইন পাওয়া গেছে। পাইপলাইনের আশপাশের মাটি সরিয়ে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত মেরামতকাজ শেষ করা হবে। দ্রুততম সময়ে গ্যাস সরবরাহ চালু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
এদিকে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় আবাসিক গ্রাহকদের রান্নার কাজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রেস্তোরাঁগুলোয় খাবারের জন্য ভিড় বাড়ছে। অনেকে মাটির চুলা, ইলেকট্রিক চুলা ও সিলিন্ডার চুলায় রান্না সারছেন। ডাইং কারখানাসহ গ্যাসনির্ভর কারখানাগুলো অচল হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।
পঞ্চবটী বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত ডাইং কারখানা এমএস ডাইংয়ের উপমহাব্যবস্থাপক কবির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, গ্যাস না থাকায় গত দুই দিনে তাঁদের ডাইংয়ে ২০০ টন, ফিনিশিংয়ে ৪০০ টন, নিটিংয়ে ২০০ টন এবং প্রিন্টে ৪০ টন মাল উৎপাদন কমে গেছে। টার্গেট অনুযায়ী শিডিউল সম্পন্ন করতে না পারলে বায়ারদের নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য রপ্তানিতে সমস্যা হবে। কবির হোসেন বলেন, গ্যাসনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো এই সংকটে পড়েছে। কখন গ্যাস আসবে, তা এখনো কেউ জানাতে পারেনি।
গত শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের শাসনগাঁও এলাকায় পাইলিংয়ের সময় ২২ ফুট গভীরে থাকা তিতাস গ্যাসের পাইপলাইনে আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গে পাইপ ফেটে তীব্র শব্দে গ্যাস বের হতে থাকে।
দুর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে জেলার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।
উড়ালসড়কের প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, ‘মাটি খুঁড়ে তিতাসের গ্যাসের পাইপলাইন পাওয়া গেছে। আমরা সবাই সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করছি ফেটে যাওয়া পাইলাইন দ্রুত মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে।’