ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ককটেল বিস্ফোরণ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেছেন মো. মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশিউর রহমান ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

আজ সোমবার দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পীরজাদা শেখ মোস্তাছিনুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বেলা দেড়টার দিকে বাদী মশিউর তাঁর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পাশে অবস্থিত ভূঁইয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বেশ কিছু নেতা-কর্মী অতর্কিত তাঁদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। পরে তাঁদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। হামলাকারীরা পাশের একটি দোকানে হামলা চালিয়ে রেফ্রিজারেটর ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করেন।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমীরুল ইসলাম বলেন, এটি একটি মিথ্যা মামলা। সরকার হটানোর আন্দোলন থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দূরে রাখতে এসব ঘটনা সাজিয়ে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তিনি শুনেছেন, তাঁকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। অথচ তিনি গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত রোডমার্চেই ছিলেন। বাকি পাঁচজন আসামির বিষয়ে এখনো জানতে পারেননি।

আমীরুল উল্টো অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রোডমার্চ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলা করেছে সরকারের পেটোয়া বাহিনী। এসব করে সরকার পতনের আন্দোলন থামানো যাবে না। জনগণ বিএনপির পাশে রয়েছেন।