চট্টগ্রামে ফুলকির সুবর্ণজয়ন্তীতে তিন দিনের সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু কাল
শিশু-কিশোরদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক জগৎ ফুলকির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। সাংস্কৃতিক আয়োজন, চিত্র প্রদর্শনী, বিজ্ঞান বক্তৃতার পাশাপাশি মাটির কাজ, পাপেট তৈরি, ছাপচিত্র, তাঁত বুনন ইত্যাদির সমাহার ঘটবে উৎসবে।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে আগামীকাল বেলা সাড়ে তিনটায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন এভারেস্টজয়ী পর্বত আরোহী বাবর আলী। আজ বুধবার ফুলকি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ফুলকির সর্বাধ্যক্ষা শীলা মোমেন। এ সময় ফুলকির সভাপতি সাংবাদিক আবুল মোমেন, সম্পাদক কবি ওমর কায়সার, শিক্ষা উপদেষ্টা সৈয়দা খুরশিদা বেগম ও নির্বাহী সচিব মুবিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৭৬ সাল থেকে ফুলকির পথচলা। শিশু–কিশোরদের বিকাশে প্রতিনিয়ত সৃষ্টিশীল কাজকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন ফুলকি পরিবারের সব কর্মী। ফুলকির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সারা বছর নানা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এক বছর পরপর শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করে থাকে ফুলকি। এবার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে উৎসবের কলেবর বেড়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তন, মুক্তমঞ্চ, গ্যালারি ও প্রাঙ্গণজুড়ে এই উৎসব হবে। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘মোরা ঝরনার মতো চঞ্চল, মোরা প্রকৃতির মতো সচ্ছল’।
ফুলকির সব প্রকল্পের পরিবেশনা ছাড়াও এবারের উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতন, স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতন, উপলব্ধি শিশুবিকাশ কেন্দ্র, ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ন্যাশনাল প্রাইমারি বিদ্যালয়, এয়াকুব আলী দোভাষ উচ্চবিদ্যালয়। থাকছে ব্রতচারী, কারাতে, বিশ্ববিখ্যাত চিত্রকলা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পাপেট শো, বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের নমুনা ও প্রজেক্ট প্রদর্শনীসহ বর্ণাঢ্য সব আয়োজন। শেষ দিন শনিবার বেলা তিনটায় বিজ্ঞান বিষয়ে বক্তব্য দেবেন বিজ্ঞান বক্তা আসিফ। মূল মিলনায়তনে থাকবে গল্প শোনার আসর।