মির্জাগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় জুতা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পেটানোর অভিযোগ

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় প্রবীণ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক কিশোরের (১৭) বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদার এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত ওই কিশোর মির্জাগঞ্জ উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন কর্মী।

ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, একই গ্রামে তাঁর বোনের বাড়ি। ওই কিশোর তাঁর বোনের প্রতিবেশী। দুই দিন আগে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ওই কিশোরের সঙ্গে তাঁর বোনের ঝগড়া হয়। ওই ঘটনার জেরে গতকাল সন্ধ্যার দিকে দেউলী বাজারে তাঁর সঙ্গেও ওই কিশোরের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে নিজের পায়ের জুতা খুলে তাঁকে ছয় থেকে সাতবার পেটায়। এ সময় ওই কিশোরের সঙ্গে সমবয়সী আরও চার থেকে পাঁচজন ছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে নিবৃত করে ছাদেম হাওলাদারকে উদ্ধার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ওই বাজারের একজন ব্যবসায়ী রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদারকে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলেটি নিজের জুতা দিয়ে কয়েকটি আঘাত করেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কিশোরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাবার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

ওই কিশোর কোনো পদে না থাকলেও ছাত্রলীগের একজন কর্মী বলে জানিয়েছেন দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আদনান হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন গাজী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদার একজন প্রবীণ ব্যক্তি। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এলাকার লোকজন তাঁকে সম্মান করে। কিন্তু তাঁর ওপর এ হামলা ন্যক্কারজনক। আমরা এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।