হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে বউ এনে মায়ের ইচ্ছা পূরণ করলেন ছেলে

হেলিকপ্টারে চড়ে আসা নবদম্পতিকে দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রা গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

মায়ের ইচ্ছা ছিল, ছেলে বিয়ে করতে যাবে হেলিকপ্টারে করে। সেই ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়েই বিয়ে করতে গেলেন মোহাম্মদ মিশু। হেলিকপ্টারে করেই বউকে বাড়ি নিয়ে এলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রা গ্রামে বর যখন নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি আসেন, তখন আশপাশে লোকজনের ভিড় লেগে যায়।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার জয়রা গ্রামের মৃত কাসেম আলীর পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মোহাম্মদ মিশু (৩৫) চতুর্থ। প্রায় ১৪ বছর আগে তিনি গ্রিসে যান। সেখানে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। সম্প্রতি ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন মিশু। পারিবারিকভাবে তাঁকে বিয়ে করানো হয়।

আজ মঙ্গলবার মিশুর বিয়ে হয়। স্ত্রী তৃষ্ণা আক্তারের বাড়ি হবিগঞ্জে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ি জয়রা গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বর রওনা দেন কনের বাড়িতে। বিকেল চারটার দিকে বিয়ের সব আয়োজন শেষ করে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন। হেলিকপ্টারে চড়ে আসা নবদম্পতিকে দেখতে স্থানীয় লোকজন জয়রা গ্রামের মাঠে ভিড় করেন।

মিশুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ থেকে স্ত্রীকে আনতে তিন ঘণ্টার জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেন মোহাম্মদ মিশু। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হেলিকপ্টারটি বিকেলে ফিরে এলে বরের মা, বোন এবং নিকটাত্মীয় স্বজনেরা ফুল দিয়ে নবদম্পতিকে বরণ করে নেন। এরপর রিকশায় করে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

বর মোহাম্মদ মিশু বলেন, ‘আমার জন্মের পর মুখ দেখে মায়ের ইচ্ছা হয় ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাবেন। আজ মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ হলো। এতে আমি খুব আনন্দিত। বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও খুশি হতেন।’