প্রেমিকাকে হোটেলে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন হুমায়ুন, আদালতে স্বীকারোক্তি

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

২৫ মার্চ স্ত্রী পরিচয়ে দিয়ে এক তরুণীকে (২২) নিয়ে কিশোরগঞ্জের নিকলী সদরের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন হুমায়ুন কবির। সেখানে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। ওই তরুণীকে হত্যার ঘটনার কথা স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে  হুমায়ুন কবীর এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের খাসকামরায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী প্রথম আলোকে বলেন, জবানবন্দি গ্রহণের পর হুমায়ুন কবিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে পুলিশের কাছেও ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।

হুমায়ুন কবীর (২৯) কটিয়াদী উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। তাঁর প্রেমিকা এবং তিনি উভয়ে বিবাহিত। দুজনে গোপনে এ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

জবানবন্দিতে হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন, বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করতেন তিনি ও তাঁর প্রেমিকা। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর একসঙ্গে সময় কাটাতে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

হুমায়ুন তাঁর স্ত্রীর কাছে মেলায় যাওয়ার কথা বলে গত শনিবার প্রেমিকাকে নিয়ে নিকলি সদরে যান। সেখানে স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে হাওর প্যারাডাইস নামের একটি আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নম্বর কক্ষে ওঠেন। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে হোটেল কক্ষে প্রেমিকার সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয় তাঁর। এর একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা করেন তিনি।

এরপর হোটেলের এক কর্মীর সহায়তায় প্রেমিকাকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান হুমায়ুন। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমায়ুন কবিরকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে।

এ ঘটনায় প্রেমিকার বাবা বাদী হয়ে হুমায়ুন কবিরকে আসামি করে নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।