সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আদালতের রায়
প্রতীকী ছবি

কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সাতক্ষীরায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মনিরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। রায় শুনে কাঠগড়ায় থাকা মনিরুল কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার ভদ্রখালি গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালে সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি গ্রামের শওকত সরদারের মেয়ে সাবিকুন্নাহার খাতুনের সঙ্গে মনিরুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁরা জেলা শহরের পলাশপোলের একটি বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই ঝগড়ার একপর্যায়ে মনিরুল তাঁর স্ত্রীকে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে মনিরুলকে আটক ও রক্তাক্ত অবস্থায় সাবিকুন্নাহারকে উদ্ধার করে। সাবিকুন্নাহারকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় রাতেই নিহত ব্যক্তির মা আঞ্জুয়ারা খাতুন বাদী হয়ে মনিরুলের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার মনিরুল ওই বছরের ১৬ জুলাই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এজাহারভুক্ত আসামি মনিরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। যুক্তিতর্ক শেষে রোববার এ রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি (সরকারি কৌঁসুলি) আবদুল বারী ও তপন কুমার দাস।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির শাহ সাহবুদ্দিন জানান, মামলার অভিযোগপত্র হওয়ার পর ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে মনিরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রোববার আদালতের রায়ে তাঁর যাবজ্জীবন হয়েছে। রায়ের এ কপি পাওয়ার পর তাঁকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।