নান্দাইলে আবারও বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে ১৬ জন জখম
ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে কুকুরের কামড়ে অন্তত ১৬ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাছপাড়া উত্তর ও দক্ষিণ মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই ঘটনার পর এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে দুটি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
এর আগে গত ১৯ মে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিম দিকে নরসুন্দা নদীর পাড় সড়ক এলাকায় ইজাজুল (৩৭) নামের এক যুবক কুকুরের কামড়ে জখম হয়ে মারা যান। ওই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পিটিয়ে ১২টি কুকুরকে মেরে ফেলে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে ওই দুটি মহল্লায় গিয়ে দেখা যায়, বাসিন্দারা হাতে লাঠি নিয়ে চলাফেরা করছেন। পাছপাড়া উত্তর মহল্লার আবদুর রাশিদ (৬৫) জানান, তাঁর ছেলে তানিম মিয়া (২০) আজ সকালে ঘুম থেকে পুকুরের পাড়ে গিয়েছিল। হঠাৎ পেছন থেকে একটি কুকুর এসে তাঁকে কামড় দেয়। তাঁকে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার জন্য তানিমকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই মহল্লায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ দুটি বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে অনেকে জখম হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মুসলেম উদ্দিন (৭০), নুর মোহাম্মদ (৬০), সেলিনা বেগম (৪৫), মরিয়ম আক্তার (৮), গোবিন্দ (৫), মো. সাহেদা খাতুন (৪৫), রিসান (৪) ও হাসেনা (১২)। এ ছাড়া পাছপাড়া দক্ষিণ মহল্লার সাউদা (৫), সুজন মিয়া (১৪), রেহানা (২২), শাহেদ আলী (৫০), মন্নাছ (৬০), তানিয়া (১২), আশিক মিয়া (১৮) ও তাসলিমা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল পৌরসভার মেয়র রফিক উদ্দিন জানান, বেওয়ারিশ কুকুরের বিষয়ে পৌরসভার কিছুই করার নেই। এটি প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিষয়।
তবে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হারুনর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, বেওয়ারিশ বা খেপাটে কুকুরের উপদ্রব শুরু হলে পৌর কর্তৃপক্ষ সেগুলো আটক করে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় পৌঁছে দেবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের পক্ষ থেকে পৌর কর্তৃপক্ষকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া হবে। আটক কুকুর প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এনে ১০ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে। কুকুরটি পাগল হলে ১০ দিনের বেশি বেঁচে থাকার কথা নয়। আর কুকুরটি ভালো হলে ভ্যাকসিন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।