রাজাকার, আলবদররা ধর্মের নামে রাজনীতিকে কলঙ্কিত করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক

নোয়াখালীর সেনবাগের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। আজ সকালেছবি: স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত।

রাজাকার, আলবদররা ধর্মের নামে, ইসলামের নামে বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলঙ্কিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

আজ মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়ার পর দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।

জয়নুল আবদিন বলেন, ‘রাজাকার, আলবদর—যারা একাত্তরে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা যেন কোনো মিটিং–মিছিল করতে না পারে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাব।’

জয়নুল আবদিন দলীয় নেতা-কর্মী ও উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমার মায়ের বুক খালি করেছে রাজাকার, আলবদররা। তারা রং বদলে আবার নতুন রূপে হাজির হয়েছে। আগামী নির্বাচনে ধর্মের নামে, ইসলামের নামে রাজনীতিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।’

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন বানচালের জন্যই জুলাই যোদ্ধা হাদিকে গুলি করা হয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা দোয়া করি, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয়। নির্বচন বানচালের জন্য সেনবাগ-সোনাইমুড়ী অংশে যদি কোনো ষড়যন্ত্র হয়, তবে তা প্রতিহত করতে হবে। এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতা-কর্মীদের শপথ নিতে হবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল বিএনপিকে আপনারা শক্ত হাতে ধরে রাখবেন।’

দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দলে দ্বিধাবিভক্তির পরিপ্রেক্ষিতে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, কারও সঙ্গে দ্বিমত থাকলেও সংঘাতে যাওয়া উচিত নয়। বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অযাচিতভাবে কারও সঙ্গে কোনো গন্ডগোল করার প্রয়োজন নেই। কারণ, এখানে প্রশাসন আছে। কেউ যদি অন্যায় করে থাকে, প্রশাসন তা তদারক করবে। কিন্তু আমাদের দাবি থাকবে—একাত্তরের পরাজিত শক্তি যেন এই সেনবাগ-সোনাইমুড়ী অংশে আপনাদের ঐক্য নষ্ট না করতে পারে।’