শ্রীপুরে পাইপগানসহ চার মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী এলাকা থেকে দেশীয় পাইপগানসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার সন্ধ্যায় বরমীর কায়েতপাড়া গ্রামে ওই নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম ওরফে লিটন (৪৬) কায়েতপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আজ রোববার সকালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শ্রীপুর থানা-পুলিশ আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। জহিরুল ইসলাম গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। তাঁর দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া। তবে সংগঠনের ওই সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা জানেন না।

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-১ উত্তরার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামে জহিরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় জহিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বাড়ির একটি টিনশেড ঘর থেকে দেশীয় একটি পাইপগান ও পাইপগানের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। পরে আজ রোববার সকালে জহিরুলকে শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শ্রীপুর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় আগে চারটি মামলা আছে। এর মধ্যে দুটি মামলা মারামারির ঘটনায়, অপর দুটি মামলা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এ ছাড়া তাঁর বৈধ অস্ত্রের কোনো লাইসেন্স নেই।

বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জহিরুল ইসলাম এলাকায় বালুর ব্যবসা করেন। তিনি বাবার চাকরির সুবাদে একসময় ঢাকায় থাকতেন। তবে এলাকায় ফিরে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। এর আগে মতবিরোধের কারণে স্থানীয় অনেকের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। হারুনুর রশিদ বলেন, আইন সবার জন্য সমান। অপরাধ করলে তিনি যে দলেরই হোক, আইন অনুযায়ী তাঁর বিচার হোক।

বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় থাকাকালে জহিরুল ইসলাম অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এরপর ১৫ বছর ধরে শ্রীপুরে আছেন। এখানে এসে স্বেচ্ছাসেবক লীগে রাজনীতি শুরু করেন। বরমী এলাকার বেশ কয়েকটি মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছেন। কয়েকবার তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম প্রথম আলোকে বলেন, র‌্যাব-১ ওই ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করে। পরে মামলা দিয়ে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা আছে।