রেফ্রিজারেটর বিস্ফোরণে আরও দুজনের মৃত্যু, একই পরিবারে প্রাণ গেল ৬ জনের
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মারা যায় কলেজশিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার তিশা (১৭)। দুপুরের দিকে মারা গেছে তাঁর খালা সালমা (৩২)। এ নিয়ে একই পরিবারে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।
দুজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে তানজিলা মারা যায়। দুপুরে মারা যান তাঁর খালা সালমা। দুজনের শরীরের বড় অংশ পুড়ে গিয়েছিল।
তানজিলা আক্তারের বাবার নাম তানজিল ইসলাম। নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিলা সহপাঠীদের কাছে মেধাবী ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিল। তাঁর অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান ওই পরিবারের কর্তা তানজিলার চাচা হাসান মিয়া (৩৮)। একই দিন দুপুরে তাঁর দুই বছরের শিশু মেয়ে জান্নাতও মারা যায়। গত রোববার সকালে মারা যায় হাসান মিয়ার এক মাস বয়সী ছেলে ইমাম উদ্দিন। পরদিন সোমবার মারা যান ইমামের নানি তাহেরা বেগম (৫০)। এখনো হাসানের আরেক মেয়ে মুনতাহা (৮), শ্যালিকা আসমা বেগম (৩৫) ও তাঁর ছেলে আরাফাত (১৫) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পরিবারটির আহত সদস্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। হাসান মিয়ার ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আগুনে একে একে আমাদের পরিবারের ছয়জন চলে গেল। এখনো যারা বেঁচে আছে, তাদের নিয়েও শঙ্কা কাটছে না।’
২২ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল আবাসিক এলাকায় টিনশেডের একটি বাড়িতে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ওই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।