ভৈরবে ঘরের চালা থেকে পানি পড়া নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে যুবককে হত্যা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের হানিফ মিয়া পেশায় বাদাম বিক্রেতা। নিজ ঘরের চালা থেকে বৃষ্টির পানি পড়ার স্থানে সোমবার সকালে ইটের খোয়া ফেলেন তিনি। আরেক প্রতিবেশী জামাল মিয়া ও জামালের ভাই জাকির মিয়ার ধারণা ইটের খোয়া ফেলায় চালার পানি গড়িয়ে তাঁদের বাড়িতে চলে আসবে। এতে ক্ষতি হবে তাঁদের। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় আরেক প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০) পক্ষ নেন হানিফ মিয়ার। এর জের ধরে সন্ধ্যায় জামাল ও জাকিরের নেতৃত্বে কিছু মানুষ এসে জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, হানিফ মিয়ার ঘরের চালার পানি হানিফ মিয়ার জায়গাতেই পড়ে। জায়গাটি থেকে মাটি সরে গর্তের সৃষ্টি হয়। সকালে হানিফ মূলত ইটের খোয়া দিয়ে গর্ত ভরাট করেন। তা দেখে জামাল ও জাকির এসে খোয়া ফেলতে বারণ করেন। তাঁরা জানান, গর্তটি ভরাট করা হলে স্থানটি উঁচু হয়ে যাবে, তখন হানিফের চালার পানি তাঁদের (জামাল ও জাকির) বাড়িতে চলে আসবে। এ নিয়ে সকালে দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর ঘটানাস্থলে ছিলেন না। দুপুরে এসে ঘটনা শুনে তিনি হানিফের পক্ষে অবস্থান নেন। জামাল ও জাকিরের আচরণের সমালোচনা করেন। বিকেলে এ খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হন ওই দুই ভাই। ইফতারের কিছু সময় আগে তাঁরা হানিফের বাড়িতে গিয়ে জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।

হাসপাতালে নেওয়া হলে জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোয়েব রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার পর জাহাঙ্গীরকে তাঁরা জীবিত পাননি।

হানিফ বলেন, ‘আমার জায়গাতে আমি খোয়া ফেলে অন্যায় করিনি, জাহাঙ্গীরের এতটুকু কথা সহ্য হয়নি জামাল ও জাকিরের। শুধু এইটুকুর জন্য এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জাহাঙ্গীরকে মেরে ফেলা হয়।’

ঘটনার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছেন ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এরই মধ্যে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের মাথায় ও বুকে কোপের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।