বহুতল ভবনের ভোটকেন্দ্রে ভোগান্তিতে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা

স্বজনের সহায়তায় এক ভোটার সিঁড়ি ভেঙে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন। আজ বুধবার বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হাজী আবদুল মালেক উচ্চবিদ্যালয়েছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বহুতল ভবনে ভোট দিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা। আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

উপজেলার হুশিয়ার এলাকায় হাজী আবদুল মালেক উচ্চবিদ্যালয়ে দুটি এবং ২৬ নম্বর কুশিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। তিনটি কেন্দ্রে ভোটার সাত হাজার দুজন।

হাজী আবদুল মালেক উচ্চবিদ্যালয়ের তিন তলায় ছয়টি বুথে পুরুষ ভোটকেন্দ্র। সেখানে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভোটারদের সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

শারীরিক প্রতিবন্ধী সজীব মিয়ার (২৯) বাড়ি কুশিয়ারা এলাকায়। আবদুল মালেক উচ্চবিদ্যালয়ের তিন তলায় তাঁর ভোটকেন্দ্র। ভোট দেওয়ার পর তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে ভোট দিয়েছি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে ভালো লাগছে।’

কুশিয়ারা এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। তাঁর কোমরের নিচের অংশের একটি পাশ অচল। স্ট্রেচারে ভর করে তিনি ভোট দিতে এসেছেন। ভোটকেন্দ্র তিন তলায় হওয়ায় তিনি ওপরে উঠতে পারেননি। ভোট না দিয়েই তিনি ফিরে গেছেন।

রবিউল হোসেনের বয়স ৭৫ বছর। তাঁকে দুজন কাঁধে ভর করে নিয়ে এসেছেন ২৬ নম্বর কুশিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে। ভবনের দোতলায় উঠতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ভোটারদের কথা চিন্তা করে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা প্রয়োজন ছিল। বয়স্কদের দোতলার সিঁড়ি ভেঙে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনসহ অন্যদের ভেবে দেখা দরকার ছিল।’

এ বিষয়ে হাজী আবদুল মালেক উচ্চবিদ্যালয়ের পুরুষ ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তিন তলায় ৬টি বুথে পুরুষ ভোটকেন্দ্র। বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা ভোট দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন।