কালিয়াকৈরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও তাদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার আড়াইগঞ্জ বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাঁরা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নিহত মিজানুর রহমান উপজেলার আড়াইগঞ্জের চাঁনপুর এলাকার ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। ওই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী অন্তরা বেগম ২৫ মার্চ ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা করেন।

হত্যা মামলার প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেনসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে রোববার দুপুরে নিহত মিজানুরের বাড়ি চাঁনপুর এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এটি উপজেলার বোর্ডঘর-ঢালজোড়া সড়কের আড়াইগঞ্জ বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডের স্থানে মানববন্ধন করা হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন নিহত মিজানুরের বাবা ওয়াজ উদ্দিন, মা মমতাজ বেগম, স্ত্রী অন্তরা আক্তার, ছোট ভাই কামরুল ইসলাম, চাচা রজ্জব আলী, চাচাতো ভাই সাব্বির হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা আজাহারুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, পুলিশ বলছে আসামিদের পাচ্ছে না। কিন্ত আসামিদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

এ সম্পর্কে লিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ব্যবসায়ী মিজানুরকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার এজাহার ও থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমান মাটি কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। গত ২৪ মার্চ বিকেলে তাঁকে মুঠোফোনে একজন জানান, একটি জায়গায় মাটি ভরাট করা হবে, তিনি যেন আসেন। সেই ফোন পাওয়ার কিছু সময় পর টালাবহ গ্রামের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে আড়াইগঞ্জ বাজারে গেলে আনোয়ার হোসেনসহ ১৫-১৬ জন তাঁকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ও স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতে চিকিৎসকেরা মিজানুরকে মৃত ঘোষণা করেন।